তৃতীয় পর্ব
অফিস ওয়ার্ডের ইন্টারফেস হলো এর মূল অংশ, যেখানে আমরা সব কাজ সম্পাদন করতে পারি। ইন্টারফেসটি কয়েকটি প্রধান অংশে বিভক্ত, যা কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন ফিচার সরবরাহ করে। এখানে অফিস ওয়ার্ডের ইন্টারফেসের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. টাইটেল বার

  • উপরের দিকে, যেখানে আপনার ডকুমেন্টের নাম এবং সফটওয়্যারটির নাম দেখা যায়। এখানে আপনি ডকুমেন্টটি সেভ করলে তার নাম দেখতে পাবেন। সাধারণত, সেভ না করা থাকলে এটি "Document1" হিসেবে দেখায়।

২. কুইক অ্যাক্সেস টুলবার (Quick Access Toolbar)

  • টাইটেল বারের বাম দিকে, যেখানে সেভ, আনডু, রিডু ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডগুলি থাকে। আপনি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী আরও কমান্ড যোগ করতে পারেন, যাতে দ্রুত অ্যাক্সেস পান।

৩. রিবন (Ribbon)

  • এটি মূলত অপশনগুলির সারি, যেখানে ওয়ার্ডের সব ফিচারকে বিভিন্ন ট্যাবে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন:
    • হোম (Home): এখানে ফন্ট, প্যারাগ্রাফ, স্টাইল ইত্যাদি ফরম্যাটিং অপশন থাকে।
    • ইনসার্ট (Insert): ছবি, টেবিল, চার্ট, হেডার-ফুটার ইত্যাদি যোগ করার অপশন থাকে।
    • ডিজাইন (Design): ডকুমেন্টের লুক কেমন হবে তা কাস্টমাইজ করা যায়।
    • পেজ লেআউট (Page Layout): পেজের মার্জিন, অরিয়েন্টেশন, সাইজ ইত্যাদি সেট করা যায়।
    • রেফারেন্সেস (References): রেফারেন্স যোগ করা, টেবিল অফ কন্টেন্ট তৈরি করা ইত্যাদি করা যায়।
    • রিভিউ (Review): স্পেল চেক, কমেন্টস, ট্র্যাক চেঞ্জেস ইত্যাদি দেখা যায়।
    • ভিউ (View): ডকুমেন্টটি কোন ভিউয়ে দেখবেন তা বেছে নিতে পারবেন।

৪. রুলার (Ruler)

  • ডকুমেন্টের উপর এবং বাম পাশে থাকে, যা আপনার প্যারাগ্রাফের মাপ নির্ধারণে সাহায্য করে। মার্জিন এবং ইন্ডেন্ট ঠিক করার জন্য এটি অনেক কাজে লাগে।

৫. ওয়ার্কস্পেস

  • এটি মূলত যেখানে আপনি আপনার ডকুমেন্ট টাইপ করবেন এবং এডিট করবেন। ওয়ার্ডের মূল কাজগুলো এই অংশে হয়।

৬. স্ট্যাটাস বার (Status Bar)

  • নিচের দিকে অবস্থিত, এখানে পেজ সংখ্যা, শব্দ সংখ্যা, ভাষা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখা যায়। এখান থেকে আপনি ভিউ মোডও পরিবর্তন করতে পারবেন, যেমন ড্রাফট ভিউ, প্রিন্ট লেআউট ভিউ ইত্যাদি।

৭. স্ক্রল বার (Scroll Bar)

  • ডান পাশে এবং নিচে থাকে, যা আপনার ডকুমেন্টের বিভিন্ন অংশে সহজে নেভিগেট করতে সাহায্য করে।

৮. জুম কন্ট্রোল (Zoom Control)

  • স্ট্যাটাস বারের ডান পাশে থাকে, যা দিয়ে ডকুমেন্টকে জুম ইন বা জুম আউট করতে পারেন।

এভাবে ওয়ার্ড ইন্টারফেসের প্রতিটি অংশই ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা আপনাকে দ্রুত এবং সহজে ডকুমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।